টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশে বিস্তৃত দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলমহালগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হাওর। টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব প্রান্তের সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত । টাঙ্গুয়ার হাওর মিঠাপানির জলাভূমি । মিঠাপানি সমৃদ্ধ জলাশয়, নীল আকাশ, বৈচিত্রময় পাহাড়, সারি সারি পাখি, মাছ , বিভিন্ন বৈচিত্রময় গাছপালা, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত এই হাওর । এ হাওরে ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টির বেশি ঝর্না এসে মিশেছে ।
টাঙ্গুয়ার হাওর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার নিয়ে বিস্তৃত একটি হাওর । এ হাওরের আয়তন ৬৯১২ একর। যদিও বর্ষাকালে এ হাওরের আয়তন বৃদ্ধি পায় । বর্ষাকালে এর আয়তন প্রায় ২০,০০০ একর পর্যন্ত হয়। এ হাওরে মোট জলমহাল সংখ্যা ৫১টি। এ বর্ষাকালে এ হাওর পানিতে ডুবে থাকলেও শীতকালে এ হাওরের পানি অনেকাংশ শুকিয়ে যায় । শীতকালে এ হাওরে প্রচুর প্ররিমানে অথিতি পাখির বিরাজমান ঘটে। এ সংখ্যা প্রায় ২৫০ প্রজাতি পাখি । টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ভারতের মেঘালয় অন্তর্ভুক্ত পাহাড়্গুলো দেখা যায় ।
প্রকৃতির এক নান্দনিক উপহার যেনো টাঙ্গুয়ার হাওর। এ হাওরের পানি খুবই স্বচ্ছ । প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যে ঘেরা এ হাওরে ছোট বড় প্রায় ৪৬ টি ভাসমান দ্বীপ ও গ্রাম রয়েছে । টাঙ্গুয়ার হাওর প্রায় ১৪০ প্রজাতির মাছ, ১২ প্রজাতির ব্যাঙ, ১৫০ প্রজাতির বেশি সরীসৃপ,২১ প্রজাতির সাপ ইত্যাদি জীববৈচিত্রে ঘেরা। এছাড়া এ হাওরে হিজল, দুধিলতা, নীল শাপলা , পানি ফল ,শত্মূলি, শীতলপাটি, স্বররণলতা ইত্যাদি সহ দুশো প্রজাতির গাছগাছালি রয়েছে। অনুমান করা হয় বিগত শীত মৌসুমে এখানে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ পাখি টাঙ্গুয়ার হাওরে ছিলো । এ হাওরটি মাছ পাখি, গাছগাছালি একে উপরের নির্ভরশীল এক অন্যতম ইকো সিস্টেম । বাংলাদেশ সরকার টাঙ্গুয়ার হাওরকে ১৯৯৯ সালে Ecologically Critical Area (ECA) হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওর প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যে ঘেরা জীবঅবৈচিত্রময় হাওর। হিজল করচের দৃষ্টী নন্দন সারি এ হাওরকে করে তুলেছে আরো বেশি আকর্ষনীয়। এ হাওরে রয়েছে ছোট বড় ১৪১ প্রজাতির ২০৮ প্রাজাতির পাখি । লেউচ্ছামারা ও বেরবেড়িইয়া বিল হলো টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম দুটি বিল। স্থানীয় লোকজনের কাছে টাঙ্গুয়ার হাওর“নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল” নামেও পরিচিত।
টাঙ্গুয়ার হাওর কেনো যাবেন
আর্টিকেলটিতে যা যা থাকছে
অপুরুপ সৌন্দর্যে ঘেরা টাঙ্গুয়ার হাওর । বর্ষাকালে প্রায় অধিকাংশ মানুষই ছুটে আসে এখানে হাওর বিলাসের জন্য। এখানে অপরুপ শিমুল বাগানের দেখা মিলে । প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করার জন্য অন্যতম । এখানে রয়েছে টেকের ঘাট নীলাদ্রি লেক , ওয়াচ টাওয়ার, যাদুকাটা নদী, দিগন্তজোড়া জলরাশি, ভারতের মেঘালয় পাহাড়, লাকমাছড়া, বারিক্কাটিলা প্রভৃতি । এখানে জলাবনের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ছোট ছোট নৌকা নিয়ে ছোট বাচ্চাদের ঘুরতে দেখা যায়। টাঙ্গুয়ার হাওর প্রকৃতির এক অকৃপণ দান। প্রাকৃতিক সাজে সজ্জিত এ হাওর। বাবা মা , বন্ধু বান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষ্কে নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরার জন্য অন্যতম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করা কিংবা প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলীন করার জন্য হলেও টাঙ্গুয়ার হাওরে একবার হলেও ঘুরে যাবেন ।
টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়ার উপযুক্ত সময়
সাধারনত বর্ষাকাল টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরবার জন্য উপযুক্ত সময়। জুন থেকে জুলাই হাওর ভ্রমনের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় । এ সময় ভারতের মেঘালয় থেকে বয়ে আসা পানিতে হাওরটি সম্পূর্ণ থাকে। তখন হাওরের সৌন্দর্য ও হাওরের সাথে মিশে থাকা নীল আকাশ আপনাকে আরো বেশী মুখরিত করবে। জুন জুলাই ব্যতীত অন্য সময় হাওরের পানি সাধারনত কম থাকে। দিগন্ত জোড়া মাঠ অতিথি পাখি দেখার জন্য শীতকাল উপযুক্ত সময় হাওর ভ্রমনের জন্য । এসময় হাওর নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে থাকে। শীতকালে সূদুর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসা অতিথি পাখি এছাড়া হাওরের শিমুল ফুলের বাগান আপনাকে নতুন সাজে বরণ করে নিবে ।
টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়ার সহজ উপায়
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে টাঙ্গুয়া হাওর ভ্রমণ
টাঙ্গুয়ার হাওর উদ্দেশ্যে প্রথমে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ যেতে হবে। ঢাকার সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের বাস আসে। শ্যামলী এন আর, শ্যামলী এস পি, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, মামুন পরিনহণ বাস সরাসরি সুনামঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। কেউ মহাখালী থেকে আসতে চাইলে এনা পরিবহনে করে আসতে পারে। এছাড়া এয়ারর্পোট আব্দুল্লাহপুর থেকেও এনা পরিবহন পেয়ে যাবেন । এই রুটে এসি নন এসি উভয় ধরনের বাস পাওয়া যায় । নন এসি বাস সাধারনত ৮০০ টাকা থেকে শুরু আর নন এসি বাস সাধারনত ১২০০ টাকা থেকে শুরু। বাসে করে সুনামগঞ্জ আসতে প্রায় ছয় ঘন্টা সময় লাগে । সুনামগঞ্জ শহরে আসার পর লাগুনা, সি এন জি, অটো রিকশা কিংবা বাইকে করে তাহিরপুর বাজারে যেতে হবে। সেখানে আপনি আপনার কাঙ্খিত ইঞ্জিন বোট অথবা হাউজবোট পেয়ে যাবেন । এখান থেকেই আপনি টাঙ্গুয়ায় ভ্রমন শুরু করতে পারবেন ।
সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ
সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ যেতে হলে প্রথনে সিলেটের কুমারগাও এলাকায় আসতে হবে।কুমারগাও থেকে লোকাল ও সিটিং বাসে করে সহজেই সুনামগঞ্জ আসা যায়। এতে বাস ভাড়া ১০০ টাকা লাগে সুনামগঞ্জ আসতে। সুনামগঞ্জ প্রায় ২ ঘন্টার মত লাগে আসতে। এছাড়া সিলেটের শাহজালাল মাজারের সামনে থেকেও সুনামগঞ্জ যাবার লাইট গাড়ি পাওয়া যায়। লাইট গাড়ির ভাড়া ২০০ টাকা। সুনামগঞ্জ এ এসে লেগুলা, সি এন জি, বাইকে করে সহজেই তাহিরপুর আসা যায়। তাহিরপুর নৌকা ঘাট থেকে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত হাউজ বোট বা ইঞ্জিন বোটে করে আপনি আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারেন।
ট্রেনে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ
ট্রেনে করে সরাসরি সুনামগঞ্জ আসার কোনো উপায় নেই তাই ট্রেনে করে প্রথমে সিলেট আসতে হবে। এর বাকি পথটুকু সি এন জি ,বাস কিংবা প্রাইভেট কারে করে সুনামগঞ্জ আসতে পারবেন। এছাড়া কেউ বাসে আসতে চাইলে সিলেট রেল স্টেশন থেকে অটো কিংবা রিকশাতে করে হুমায়ন চত্বর যাবেন। সেখান থেকে সুনামগঞ্জ যাবার বাস পাওয়া যায়। এখানে এসি নন এসি উভয় ধরনের বাস পাওয়া যায়। এসি বাসে ২০০ টাকা আর নন এসি বাসে ১৪৫ টাকা। সুনামগঞ্জ পৌছানোর পর আপনাকে সি এন জি কিংবা বাইকে করে তাহিরপুর আসতে হবে। তাহিরপুর নৌকা ঘাট থেকে সাইজ ও সামর্থ অনুযায়ী নৌকা , হাউজ বোট ও ইঞ্জিন বোট ভাড়া করে বেরিয়ে পরুন টাঙ্গুয়ার হাওর।
কীভাবে নৌকা ও হাউজবোট ভাড়া করবেন
বর্তমানে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করার জন্য আধুনিক সু্যোগ সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন ধরনের হাউজবোট ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা রয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন বোট, হাউজ বোট, সেমি হাউজ বোট পাওয়া যায়। টাঙ্গুয়ায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন অধিকাংশ মানুষ বোটেই রাত্রীযাপন করেন। বোটের কোয়ালিটি এবং প্যাকেজ অনুযায়ী টাঙ্গুয়ার হাওর নৌকা ভাড়া বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। হাউজ বোট গুলোর প্যাকেজ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে । যেমন সেমি প্যাকেজ , ফুল প্যাকেজ, ডে ট্রিপ প্যাকেজ । হাউজবোটের প্রাইজ বেশী মনে হলে এক্ষেত্রে খরচ কমানোর জন্য লোকাল বডির নৌকা গুলো ভাড়া করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নিজের সুবিধা অনুযায়ী আপনাদের দরদাম করে নিতে হবে। হাউজ বোট কিংবা লোকার ইঞ্জিন চালিত বোট প্রভৃতি ভাড়া করার পূর্বে অবশ্যই বোটে থাকার ব্যাবস্থা , ওয়াশরুম , খাবার ব্যবস্থা ইত্যাদি ঠিক মতো আছে কিনা সেটা আগে থেকেই ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করে নিতে হবে।
হোটেল অথবা রেস্টহাউজ
টাঙ্গুয়ায় রাত্রি যাপনের জন্য এর আশেপাশে তেমন কোনো হোটেল কিংবা রেস্ট হাউজ নেই। তবে উত্তর পূর্বে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজে অবস্থান করা যায়। এছাড়া সুনামগঞ্জে রাত্রী যাপনের জন্য রয়েছে নানাবিধ হোটেল। হোটেলের কোয়ালিটি অনুযায়ী হোটেলের ভাড়া নির্ধারিত করা হয়েছে। আপনি আপনার পছন্দ ও সামর্থ অনুযায়ী হোটেল নির্বাচন করে সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারবেন।
সুস্বাস্থ্য খাবার ব্যবস্থা
হাউজবোট প্যাকেজ ভাড়া করলে সাধারনত তারাই প্রতিবেলার খাবার সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া আপনি যদি শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নৌকা ভাড়া করে থাকেন এক্ষেত্রে সকালের নাস্তা তাহিরপুর বাজারে করতে পারেন । দুপুর ও রাতের খাবার ট্যাকের ঘাট থেকে খেতে পারেন । এখানে অনেকগুলো ছোট ছোট রেস্টুরেন্ট রয়েছে। অনেকে চাইলে নিজেরা খাবার কিনে নিয়েও যেতে পারেন সেখানে খাওয়ার জন্য । মাঝে মাঝে ছোট ছোট নৌকা দেখা যায় । এসব নৌকায় করে মাঝিরা শুকনো খাবার চা বিস্কুট এছাড়া বিভিন্ন মুখরোচক খাবার বিক্রি করে থাকেন । বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষই এখন বোট প্যাকে গুলো নিয়ে থাকে। বোট প্যাকেজ গুলোই সকালের নাস্তা, স্ন্যাকস, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যাকালীন নাস্তা ও রাতের খাবার দিয়ে থাকে।
টাঙ্গুয়ার হাওরে কোথায় কোথায় অবশ্যই ঘুরবেন
ওয়াচ টাওয়ার
আপনি যদি টাঙ্গুয়ার হাওরকে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউতে দেখতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে ওয়াচ টাওয়ারে। টাঙ্গুয়ার হাওরে একটি জনপ্রিয় ঘোরার জায়গা হলো এই অয়াচ টাওয়ার । এখান থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরকে অন্যভাবে উপভোগ করা যায় ।ওয়াচ টাওয়ারের আসেপাশের পানি বেশ স্বচ্ছ । ওয়াচ টাওয়ারের অয়াশে স্বচ্ছ পানিতে লাইফ জ্যাকেট পরে উপভোগ করুন অন্যরকম সুইমিং এর অভিজ্ঞতা ।
নীলাদ্রি লেক
টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে নীলাদ্রি লেক । এই লেকের প্রকৃত নাম শহীদ সিরাজ লেক। তবে ভ্রমণ কমিউনিটিতে এর লেক নীলাদ্রি লেক নামেই সবাই চিনে। এই লেকের নামটা যেমন সুন্দর তেমন এর রুপটাও অতি আকর্ষনীয়। এই লেকের পানি নীল আকাশের সাথে মিশে আছে। নিজ চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করতে পারবে না এই লেকের পানি এতোটা নীল । এই লেকের অন্যপাশে রয়েছে ভারতের মেঘালয় পাহাড়। নীলাদ্রি লেককে বাংলার কাশ্মীর বলে অভিহিত করা হয় ।
শিমুল বাগান
টাঙ্গুয়ার হাওরের আরো একটি দর্শনীয় স্থান হলো শিমুল বাগান । শিমুল বাগানে যাওয়ার দুটি উপযুক্ত সময়। যদি শিমুল ফুলের রক্তমাখা লাল আবেশ উপভোগ করতে চান তাহলে আপনাকে ফাল্গুন মাসে এখানে যেতে হবে। এ সময় হাওরে পানির পরিমান কম থাকে । তবে বর্ষায় গেলে ঘন সবুজ শিমুল বাগান দেখা মিলে।
আশে পাশের দর্শনীয় স্থান
টাঙ্গুয়ার হাওর প্রকৃতির এক অকৃপণ দান । উপরোক্ত স্থান ব্যতীত এখানে আরো অনেক ঘুরার জায়গা রয়েছে । সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে অবশ্যই এ স্থান গুলো দর্শন করতে একদমই ভুলবেন না।
- যাদুকাটা নদী
- লাউয়ের গড়
- বাশবাগান
- লকমা ছড়া
- বারিক্কা টিলা
- ছোট ছোট সোয়াম্প ফরেস্ট
ভ্রমন টিপস ও সতর্কতা
- হাওর ভ্রমণের সময় খাবারের উচ্ছিষ্ট খাবার প্যাকেট এগুলো হাওরে ফেলা যাবে না ।
- হাওরের পানিতে নামার সময় অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে।
- হাওরের গাছ পালাড় ক্ষতিসাধন হতে বিরত থাকতে হবে।
- প্রয়জনীয় জিনিস পত্র যেমন ফোনের চার্জার, টর্চলাইট, ফোনের পাওয়ার ব্যাংক, টয়লেট টিস্যু ইত্যাদি দ্রব্য সামগ্রী পরিবহন করবেন।
- কোনো অবস্থায় হাওরের পানিতে ময়লা ফেলা যাবে না
- হাওরে বৃষ্টিপাত বজ্রপাত হলে নৌকার সুরক্ষিত এথানে অবস্থান করুন ।
- হাওরের মাছ , পাখি ও অন্য জলজ প্রানীদের কোনো রকম ক্ষতি করা যাবে না
- হাওরে প্লাস্টিক পলিথিন ব্যাগ বোতল ইত্যাদি ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শেষকথা
টাঙ্গুয়ায় নৌকা বা বোট ভাড়া করার সময় দরদাম করে নিবেন । অনেক সমইয় কিছু অসাধু নৌকা মাঝিরা প্রাপ্য মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্য নেয় দর্শনার্থীর থেকে। টাঙ্গুয়ায় ভ্রমণের সময় অবশ্যই এমন জামা কাপড় নির্বাচন করা উচিত যেগুলো তারাতারি সুখিয়ে যায় । বর্ষাকালে হাওর ভ্রমণের জন্য গেলে বৃষ্টিতে ভীজা থেকে বিরত থাকা ভালো । এছাড়া সকলেরই উচিত প্রয়োজনীয় কিছু মেডিসিন নিজেদের সাথে বহন করা। যাতে কেউ অসুস্থ হলেও যেনো সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন করে সুস্থ হতে পারে আর হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেনো উপভোগ করতে পারে ।
সর্বশেষ কিছু কথা বলতে চাই টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরার জন্য অবশ্যই একটি সুন্দর পরিকল্পনা করে নিজের বন্ধু বান্ধব , ফ্যামেলী , প্রিয় মানুষদের সাথে ঘুরবেন। ভ্রমণের পূর্বে অবশ্যই হাওর সম্পর্কে জানবেন । সাবনতা এবং সতর্ক্তা সবটা মেনে নিজের ভ্রমণকে করে তুলুন আরো সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর। অবশ্যই ঘুরার সময় নিজের প্রয়োজনীয় সকল কিছু সাথে বহন করবেন । কারন ঘুরতে যেয়ে প্রয়োজনীয় কিছু না পেলে ঘুরার আনন্দটা নষ্ট হয়ে যায় । আশা করি আপনার টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ অনেক বেশি রোমাঞ্চকর এবং আনন্দদায়ক হোক ।