আহসান মঞ্জিলের ইতিহাস
আহসান মঞ্জিল ( Ahsan Manzil Museum ) যা পিঙ্ক প্যালেস নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় অবস্থিত একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক নিদর্শন। আহসান মঞ্জিল ১৯ শতকের শেষের দিকে নির্মিত হয়েছিল । এটি ঢাকার নবাবদের সরকারী বাসভবন হিসাবে পরিবেশিত হয়েছিল।
১৮৫৯ সালে শুরু হয় আহসান মঞ্জিলের নির্মাণকাজ এবং ১৮৭২ সালে শেষ হয়। প্রাসাদটি ব্রিটিশ স্থপতি রবার্ট চিশলম দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল, যিনি ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলী দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। ঢাকার নবাবরা ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ বিভক্তির আগ পর্যন্ত আহসান মঞ্জিলকে তাদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করতেন।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর আহসান মঞ্জিল পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে । ১৯৫০ এর দশকে,প্রাসাদটিকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করে।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আহসান মঞ্জিল পরবর্তীতে ১৯৮০ এর দশকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংস্কার ও পূর্বের গৌরব পুনরুদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে, আহসান মঞ্জিল ঢাকার একটি জাদুঘর এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ভ্রমণ প্রিয় দর্শনার্থীরা প্রাসাদের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখতে পারেন এবং ঢাকার নবাবদের ইতিহাস এবং তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারেন। প্রাসাদটিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে মুঘল ও ব্রিটিশ আমলের নিদর্শন ও ধ্বংসাবশেষের একটি বড় সংগ্রহ রয়েছে।
আহসান মঞ্জিল কে নির্মাণ করেন
১৯ শতকের শেষের দিকে ধনী জমিদার খাজা আবদুল গণি আহসান মঞ্জিল নির্মাণ করেছিলেন।
আহসান মঞ্জিল কার নামে নামকরন করা হয়েছিলো?
খাজা আব্দুল গণির পুত্র নবাব খাজা আহসানউল্লাহ বাহাদুরের নামানুসারে আহসান মঞ্জিলের নামকরণ করা হয়। নবাব আহসানউল্লাহ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে ঢাকার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তার জনহিতকর কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত ছিলেন। সমাজে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাসাদটির নামকরণ করা হয়েছিল তাঁর নামে।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর কোথায় অবস্থিত
ঢাকা শহরের পুরান ঢাকা এলাকায় আহসান মঞ্জিল জাদুঘর (Ahsan Manzil Museum) অবস্থিত। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এবং সড়ক, নদী এবং রেলপথে সহজেই যাওয়া যায়। আহসান মঞ্জিলের পুরো ঠিকানা হল:
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর
ডোমেস্টিক Rd, ঢাকা 1100, বাংলাদেশ।
আহসান মঞ্জিল যেই কারনে বিখ্যাত
ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যগত তাৎপর্য সহ বিভিন্ন কারণে আহসান মঞ্জিল বিখ্যাত। আহসান মঞ্জিলকে একটি জনপ্রিয় এবং আইকনিক ল্যান্ডমার্ক হিসেবে বিবেচনা করার কিছু প্রধান কারণ রয়েছে
- ইতিহাস: আহসান মঞ্জিলের একটি সমৃদ্ধ ও বহুতল ইতিহাস রয়েছে, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে ঢাকার নবাবদের সরকারি বাসভবন হিসেবে কাজ করেছিল। এটি নবাব খাজা আহসানউল্লাহ বাহাদুরের জনহিতকর কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত, যিনি সেই সময়ে ঢাকার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
- স্থাপত্য: আহসান মঞ্জিল ইন্দো-সারাসেনিক পুনরুজ্জীবন স্থাপত্যের একটি সুন্দর উদাহরণ, যা ভারতীয়, ইসলামিক এবং ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীর সংমিশ্রণ। প্রাসাদের গোলাপী সম্মুখভাগ এবং সাদা স্তম্ভগুলি বিশেষভাবে আকর্ষণীয় এবং পুরান ঢাকার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
- জাদুঘর: আজ আহসান মঞ্জিল ঢাকার নবাবদের জীবনধারা ও সংস্কৃতি প্রদর্শন করে এমন একটি জাদুঘর। জাদুঘরে বাংলাদেশের ইতিহাসে মুঘল ও ব্রিটিশ আমলের নিদর্শন ও ধ্বংসাবশেষের একটি বড় সংগ্রহ রয়েছে, যা এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক আকর্ষণ করে তুলেছে।
- অবস্থান: আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, শহরের একটি জমজমাট এবং প্রাণবন্ত অংশ যা বাজার, খাবার এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে প্রাসাদটির নৈকট্যও এর আকর্ষণ এবং আবেদন বাড়িয়ে তোলে।
আহসান মঞ্জিল কবে বন্ধ থাকে
সাধারণত প্রতি বৃহস্পতিবার আহসান মঞ্জিল বন্ধ থাকে। সরকারী ছুটির দিন সহ সপ্তাহের অন্যান্য সমস্ত দিন আহসান মঞ্জিল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। আহসান মঞ্জিল পরিদর্শনের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত, দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার বিরতি। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন খোলার সময় পরিবর্তিত হতে পারে, তাই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা বা দেখার আগে কল করা সবসময়ই ভালো।
আহসান মঞ্জিল পরিদর্শনের সময়সূচি:
শনিবার-বুধবার: সকাল ১০.৩০- বিকাল ০৪.৩০ পর্যন্ত (টিকিট বিক্রি বন্ধ হবে বিকাল ০৪.০০ টায়)
শুক্রবার : বিকাল ০৩.০০ – সন্ধ্যা ৭.০০ পর্যন্ত (টিকিট বিক্রি বন্ধ হবে বিকাল ০৬.৩০ টায়)
সাপ্তাহিক বন্ধ: বৃহস্পতিবার
আহসান মঞ্জিলে প্রবেশের টিকেট মূল্য
আহসান মঞ্জিলের টিকিটের মূল্য স্থানীয় এবং বিদেশীদের জন্য আলাদা হতে পারে।
স্থানীয়দের জন্য: ৪০ বাংলাদেশী টাকা
বিদেশীদের জন্য: ৫০০ টাকা
সার্ক ভুক্ত দেশ গুলোর জন্যঃ ৩০০ টাকা
অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন টিকিটের দাম পরিবর্তন সাপেক্ষে, তাই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা বা আপডেট তথ্যের জন্য সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করা সর্বদা একটি ভাল ধারণা।
অনলাইনে যেভাবে আহসান মঞ্জিলের টিকিট কিনবেন
আহসান মঞ্জিলের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে টিকিট কিনতে পারবেন।
আহসান মঞ্জিলে যাওয়ার উপায়
আপনি যদি আহসান মঞ্জিলে যেতে চান তাহলে সেখানে যাওয়ার জন্য বেশকিছু উপায় রয়েছে:
- সড়কপথে: আহসান মঞ্জিল সড়কপথে সহজেই যাওয়া যায়। সেখানে যাওয়ার জন্য আপনি একটি ট্যাক্সি, রাইড-শেয়ারিং পরিষেবা বা বাস নিতে পারেন। প্রাসাদের আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখার জন্য আপনি একটি গাড়ি বা সাইকেল ভাড়া করতে পারেন।
- নদীপথে: আহসান মঞ্জিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত, তাই সেখানে যাওয়ার জন্য আপনি একটি নৌকা বা লঞ্চে যেতে পারেন। প্রাসাদ এবং আশেপাশের এলাকা দেখার জন্য এটি একটি সুন্দর এবং উপভোগ্য উপায় হতে পারে।
- রেলপথে: আহসান মঞ্জিলের নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, যা প্রায় 4 কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে, আপনি প্রাসাদে একটি ট্যাক্সি বা রাইড শেয়ারিং পরিষেবা নিতে পারেন।
- আকাশপথে: আপনি যদি আকাশপথে ঢাকায় আসেন, তাহলে বিমানবন্দর থেকে আহসান মঞ্জিল পর্যন্ত ট্যাক্সি বা রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নিতে পারেন। বিমানবন্দর থেকে প্রাসাদের দূরত্ব প্রায় 18 কিলোমিটার, এবং ট্র্যাফিকের উপর নির্ভর করে যাত্রা 30 মিনিট থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত যে কোনও জায়গায় নিতে পারে।
কোথায় থাকবেন?
ঢাকা শহরের পুরান ঢাকা অংশে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল এলাকায় আবাসনের বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আপনি যদি ঢাকা বা ঢাকার আশে পাশের অধিবাসী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একদিনের মধ্যেই ভ্রমণ করে আপনার বাসায় চলে যেতে পারবেন।
- হোটেল 71: এটি আহসান মঞ্জিল থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি 3-স্টার হোটেল। হোটেলটি ফ্রি ওয়াই-ফাই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ এবং একটি 24-ঘন্টা ফ্রন্ট ডেস্ক সহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং সুবিধার একটি পরিসীমা প্রদান করে।
- প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকা: আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 5 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি একটি 5 তারকা হোটেল।
- হোটেল অর্নেট: এটি আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি বাজেট হোটেল। হোটেল পরিষ্কার এবং আরামদায়ক বাসস্থান, বিনামূল্যে Wi-Fi, প্রদান করে।
- হোটেল আল-আমিন: এটি আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 1 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি বাজেট হোটেল। হোটেল সহজ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান, বিনামূল্যে Wi-Fi, প্রদান করে।
- হোটেল বিজয়: এটি আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি বাজেট হোটেল। হোটেল মৌলিক আবাসন, বিনামূল্যে Wi-Fi,প্রদান করে।
কোথায় খাবেন?
আহসান মঞ্জিলের আশে খাওয়া দাওয়ার বেশ ভালো সুব্যবস্থা রয়েছে:
- হাজী বিরিয়ানি: এটি আহসান মঞ্জিলের কাছে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় স্থানীয় রেস্তোরাঁ যা সুস্বাদু বিরিয়ানি পরিবেশন করে, মশলা এবং মাংস বা শাকসবজি দিয়ে তৈরি একটি ঐতিহ্যবাহী ভাতের খাবার।
- নিরব হোটেল: এটি আহসান মঞ্জিলের কাছে অবস্থিত একটি বাজেট-বান্ধব রেস্তোরাঁ যা তরকারি, কাবাব এবং পরটা সহ বিভিন্ন স্থানীয় খাবার পরিবেশন করে।
- স্টার কাবাব ও রেস্তোরাঁ: এটি আহসান মঞ্জিলের কাছে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ যা বিভিন্ন ধরনের কাবাব, তরকারি এবং অন্যান্য স্থানীয় খাবার পরিবেশন করে।
- BFC: এটি আহসান মঞ্জিলের কাছে অবস্থিত একটি ফাস্ট-ফুড চেইন যা ভাজা মুরগি এবং অন্যান্য ফাস্ট ফুড আইটেম পরিবেশন করে।
- কলকাতা কাচ্চি ঘর: এটি আহসান মঞ্জিলের কাছে অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁ যা মশলা এবং মাংস দিয়ে তৈরি একটি সুস্বাদু ভাতের খাবার, কলকাতা-শৈলীর বিরিয়ানিতে বিশেষজ্ঞ।
- ছায়ানট ক্যাফে: এটি আহসান মঞ্জিলের কাছে অবস্থিত একটি ক্যাফে যেখানে কফি, চা এবং বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাকস এবং ডেজার্ট পরিবেশন করা হয়।
আহসান মঞ্জিল এলাকায় উপলভ্য অনেক খাবারের বিকল্পের মধ্যে এগুলি কয়েকটি। স্থানীয় রন্ধনপ্রণালীর স্বাদ পেতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো এবং চেষ্টা করা সবসময়ই ভালো।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
আহসান মঞ্জিল পরিদর্শনের সর্বোত্তম সময় শীতের মৌসুমে, যা নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে । কারণ এই সময়ে আবহাওয়া মৃদু এবং মনোরম থাকে। এই সময়ে, তাপমাত্রা 20 থেকে 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে, যা ঐতিহাসিক স্থান এবং আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখতে আরামদায়ক করে তোলে।
আশে পাশের দর্শনীয় স্থান
আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, যা তার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। আহসান মঞ্জিলের আশেপাশে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা ঘুরে দেখার মতো। এখানে তাদের কিছু:
- লালবাগ কেল্লা: এটি আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 2 কিমি দূরে অবস্থিত একটি মুঘল আমলের দুর্গ। এটি 17 শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং এতে সুন্দর বাগান, একটি মসজিদ এবং একটি যাদুঘর রয়েছে।
- ঢাকেশ্বরী মন্দির: এটি আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 3 কিমি দূরে অবস্থিত ঢাকার প্রাচীনতম হিন্দু মন্দির। এটি দেবী ঢাকেশ্বরীকে উত্সর্গীকৃত এবং হিন্দুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।
- আর্মেনিয়ান চার্চ: এটি আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 1.5 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক গির্জা। এটি 18 শতকে আর্মেনিয়ান সম্প্রদায় দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ঢাকার প্রাচীনতম গির্জাগুলির মধ্যে একটি।
- নিউ মার্কেট: এটি আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 2 কিমি দূরে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় শপিং এলাকা। এটিতে কাপড়, আনুষাঙ্গিক এবং স্যুভেনির বিক্রির বিস্তৃত দোকান রয়েছে।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 4 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে সুন্দর স্থাপত্য রয়েছে এবং এখানে বেশ কয়েকটি জাদুঘর এবং গ্রন্থাগার রয়েছে।
- সদরঘাট: আহসান মঞ্জিল থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঢাকার বৃহত্তম নদীবন্দর এটি। এটি অনেক নৌকো এবং জাহাজ সহ একটি ব্যস্ত এলাকা এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।
ভ্রমণ টিপস এবং সতর্কতা
সময়ের সাথে সাথে হোটেল, রিসোর্ট, গাড়ি ভাড়া এবং অন্যান্য পরিষেবার মূল্য পরিবর্তনের কারণে ভ্রমণ একাডেমীতে দেওয়া তথ্য সঠিক নাও হতে পারে। অতএব, ভ্রমণের পরিকল্পনা করার আগে অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক ভাড়া এবং খরচের তথ্য সম্পর্কে সচেতন হোন। এছাড়াও বিভিন্ন ট্রাস্টেড মিডিয়া থেকে আপনার সুবিধার জন্য, হোটেল, রিসর্ট, গাড়ি এবং যোগাযোগের অন্যান্য উপায়গুলির জন্য মোবাইল নাম্বার গুলি ও প্রদান করা হয়েছে৷ এই মোবাইল নাম্বার গুলো ব্যবহার করার আগে সমস্ত আর্থিক লেনদেন অবশ্যই যাচাই করা উচিত। ভ্রমণ একাডেমী কোনো সমস্যা বা আর্থিক ক্ষতির জন্য দায়ী নয়। এছাড়াও আহসান মঞ্জিল পরিদর্শন করার সময় আরো কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।
- নগদ টাকা বহন করুন: আহসান মঞ্জিলের আশেপাশের অনেক জায়গা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড গ্রহণ নাও করতে পারে বলে আপনার সাথে নগদ বহন করা ভাল।
- রাস্তার খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন: যদিও আহসান মঞ্জিলের আশেপাশে অনেক স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা রয়েছে, তবে অসুস্থ হওয়া এড়াতে আপনি যা খাচ্ছেন সে সম্পর্কে সতর্ক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার রান্নার জায়গা সহ বিক্রেতাদের সন্ধান করুন এবং সন্দেহজনক দেখায় বা দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা খাবার এড়িয়ে চলুন।
- পকেটমার থেকে সাবধান: যেকোনো পর্যটন গন্তব্যের মতো আহসান মঞ্জিলের আশেপাশেও পকেটমার থাকতে পারে। আপনার জিনিসপত্রের উপর নজর রাখুন এবং আপনার সাথে খুব বেশি নগদ বা মূল্যবান জিনিসপত্র বহন করা এড়িয়ে চলুন।
- আবহাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন: ঢাকা খুব গরম এবং আর্দ্র হতে পারে, বিশেষ করে গ্রীষ্মের মাসগুলিতে। হালকা, শ্বাস-প্রশ্বাসের পোশাক আনতে ভুলবেন না এবং প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকুন।
- স্থানীয় রীতিনীতিকে সম্মান করুন: বাংলাদেশ একটি প্রধানত মুসলিম দেশ। তাই স্থানীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। জনসাধারণের স্নেহ প্রদর্শন এড়িয়ে চলুন, অ্যালকোহল সম্পর্কিত স্থানীয় রীতিনীতির প্রতি সচেতন থাকুন । সর্বদা লোক বা স্থানের ছবি তোলার আগে অনুমতি নিন।