Site icon ভ্রমন একাডেমী

করমজল: সুন্দরবনে একটি বিশেষ গন্তব্যের পরিচয়

করমজল

কথা যখন দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্রের তখন বাংলাদেশের প্রথম ১০ টি স্থানের মধ্যে সুন্দরবনে অবস্থিত করমজল পর্যটন কেন্দ্র থাকবেই। বাংলাদেশের বন্যপ্রানী গুলোর অনন্য প্রজাতি সমুহ দেখতে এবং একি সাথে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে হারিয়ে যেতে করমজল পর্যটন কেন্দ্রের বিকল্প নেই। যারা পশুপাখি পছন্দ করেন এবং একি সাথে প্রকৃতিপ্রেমী, জীবনের ব্যাস্ত সময় গুলো থেকে বিরতি নিতে পছন্দ করেন সবুজ, নদী দিয়ে ঘেরা একটি ভ্রমন কেন্দ্র, তাদের জন্য করমজল পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে সবচেয়ে উত্তম স্থান।

বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট মিলিয়ে বিরাজ করে সুন্দরবন। করমজল পর্যটন কেন্দ্রটি সুন্দরবন পশুর নদীর তীরে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে ৩০ হেক্টর জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে হরিণ, রেসাস, বানর, কুমির সহ নানা প্রজাতির প্রানী রয়েছে যা প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ানোর সাথে সাথে পর্যটক দের আনন্দের কারন ও হয়ে থাকে। তাছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে আপনি এখানে কাঠের ট্রেইল, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য এসব দেখতে পাবেন আনাচে কানাচে। বাংলাদেশের একমাত্র কুমিরের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র এই করমজল এই অবস্থিত।

ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মংলা নদীবন্দর থেকে করমজল পর্যটন কেন্দ্রে পৌছাতে সময় লাগে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা। কেন্দ্রের শুরুতেই সুন্দরবন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা দেবার জন্য রয়েছে সুন্দরবনের মানচিত্র। তার সামনেই আঁকাবাঁকা কাঠের তৈরী হাটার পথ দেখতে পাবেন যা মাংকি ট্রেইল নামে পরিচিত। এই রাস্তা ধরে সামনে এগুলে দেখতে পাবেন পশুর নদী, বিশ্রাম নেবার প্রয়োজন হলে পাশেই দেখতে পাবেন বেঞ্চ। কুমির এবং হরিণ প্রজনন কেন্দ্র দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে সেখান থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দক্ষিনে পথ এর মাথায়। সেখানে পর্যবেক্ষন টাওয়ার এ উঠে আশেপাশের সৌন্দর্য দেখে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য।

প্রবেশ এর টিকেট মুল্যঃ

করমজল পর্যটন কেন্দ্রে বিদেশী পর্যটক দের কে বাংলাদেশি পর্যটক দের তুলনায় একটু বেশি ই টাকা গুনতে হয়। বাংলাদেশি পর্যটক দের জন্য প্রবেশ মুল্য ২০ টাকা অন্যদিকে বিদেশী পর্যটক দের জন্য ৩০০ টাকা করে জনপ্রতি। বিদেশি গবেষক দের জন্য প্রবেশ মুল্য ৫০০ টাকা আর বাংলাদেশী ছাত্র ও গবেষক রা যথাক্রমে ২০ এবং ৪০ টাকা দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। যাদের টুকটাক ক্যামেরা নিয়ে ভিডিও করার অভ্যাস আছে তাদের কে ক্যামেরার জন্যেও গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা যা বাংলাদেশিদের জন্য ২০০ এবং বিদেশী দের জন্য ৩০০ টাকা জনপ্রতি। এখানে প্রতিটি মুল্যের সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য।

যোগাযোগ মাধ্যমঃ

বনাঞ্চল ও সুন্দরবন সম্পর্কিত যেকোনও তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা

ডঃ আবু নাসের মোহসিন হোসেন

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, খুলনা

ই-মেইল ঃ swfdkhulna2016@gmail.com

ফোন (অফিস) –  ০৪১/৭২০৬৬৫

মোবাইল – ০১৯৯৯০০৫৮৯১

 

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা

মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাট

ই-মেইলঃ sundarbaneastbagerhat@gmaiI.com

ফোন (অফিস)- ০৪৬৮/৬৩১৯৭

মোবাইল – ০১৭১২৯৮৪৫০০

 

বন সংরক্ষক

মিহির কুমার দো

খুলনা অঞ্চল, খুলনা

ই-মেইলঃ cf_khulna@yahoo.com

ফোন (অফিস) –  +৮৮০২৪৭৭৭০০৫০১

মোবাইল  – ০১৯৯৯০০৫৮২৯

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে বাগেরহাট চলে যাওয়া যায়, অথবা কমলাপুর ট্রেনে করে চলে যেতে পারেন সরাসরি খুলনা তে। ঢাকার গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বাগেরহাটগামী বাস গুলো তে চলে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো পথ হলো সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি মংলা গামী বাসে যাত্রা করা।

পরবর্তিতে  বাগেরহাটের মংলা বন্দর থেকে লঞ্চ , এছাড়াও শরনখোলা, মোরেলগঞ্জ, মংলা থেকে সুন্দরবন গামী নৌযান পাওয়া যায়। করমজল পৌছাতে হলে মংলা থেকে চড়তে হবে ইঞ্জিন নৌকায়। মংলা ফেরিঘাটে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন নানান রকমের ইঞ্জিন চালিত নৌকা।

করমজল যেতে হলে আপনাকে পাড়ি দিতে হবে পশুর নদী যা সবসময় ই কম বেশি উত্তাল থাকে। তাই যাত্রা শুরু করার আগে ভালোমান এর ইঞ্জিন নৌকা বাছাই করে নিবেন। যাত্রা শুরু করার আগে নৌকায় পর্যাপ্ত পরিমানে লাইফ জ্যাকেট এবং লাইফ বয়া আছে কিনা তা নিশ্চিন্ত হয়ে নিবেন।

 

সায়দাবাদ(ঢাকা) থেকে বাগেরহাট টিকেট মুল্য – ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা

মংলা ফেরিঘাট থেকে করমজল ইঞ্জিন নৌকার ভাড়া – ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা

 

ঢাকা থেকে বাগেরহাট চলাচল কারী বাস সমুহ-

১। মেঘনা পরিবহন – (০১৭১৪৮৩১৬৬৬)

২। পর্যটক পরিবহন- (০১৭১১১৩১০৭৮)

৩। সাকুরা পরিবহন – (০১৭১১০১০৪৫০)

৪। সোহাগ পরিবহন – (০১৭১৮৬৭৯৩০২)

 

কোথায় থাকবেন

আপনার যদি সুন্দরবনে রাত কাটানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে টুরিস্ট ভেসেল হতে পারে একটি সুন্দর জায়গা। এছাড়াও টাইগার পয়েন্টের কচিখালি, হিরণপয়েন্ট এর নীলকমল এবং কাটকায় বনবিভাগের রেস্ট হাউজ এ রাত্রিযাপন করার সুযোগ রয়েছে।

নীলকমল এবং কচিখালি তে রাত্রিযাপনের জন্য আপনাকে গুনতে হবে কক্ষপ্রতি ৩ হাজার টাঁকা। তবে যদি ৪ টি কক্ষ ভাড়া নেন তাহলে সব মিলিয়ে ২ হাজার টাঁকা ছাড়ে আপনি রুম গুলো পেয়ে যাবেন ১০ হাজার টাকায়।

যদি আরেকটু কম দামে চান তাহলে কটকা বনবিভাগের রেস্ট হাউজে প্রতি কক্ষ পেয়ে যাবেন মাত্র ২ হাজার টাকায়। বিদেশী পর্যটক দের জন্য কক্ষ প্রতি সব জায়গা তে গুনতে হবে ৫ হাজার টাঁকা।

আপনি যদি সারাদিন করমজল এ কাটিয়ে ফিরে আসেন মংলায় এবং এখানে রাত্রিযাপন করতে চান তাহলে মংলায় রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর মোটেল পশুর। এখানে নন এসি ডবল রুম আপনি পেয়ে যাবেন ১২০০ টাকায় এবং এসি ডাবল রুম এর জন্য আপনাকে গুনতে হবে ২০০০ টাঁকা।

আর যদি আপনি সাশ্রয়ী হতে চান তাহলে ইকোনমি বেড এ থাকতে পারেন যার মুল্য ৬০০ টাঁকা। এছাড়াও মংলা শহরে একটু ঘোরাফেরা করলে পেয়ে যাবেন সাধারন মানের কিছু হোটেল যার কক্ষভাড়া সাধারনত ১০০ টাঁকা থেকে ৬০০ টাকা অবদি হয়ে থাকে।

কোথায় খাবেনঃ

আপনি যদি বাগেরহাট মংলা বন্দর নেমে খাওয়া দাওয়া করতে চান তাহলে মংলা ফেরিঘাটে মোটেল পশুর একদম কাছেই রয়েছে সোনার বাংলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট। এখানে আপনি মনোরম এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে পাবেন বাংগালী খাবার এবং অবশ্যই তা সাধ্যের মধ্যে। 

এছাড়াও ফেরিঘাট থেকে একটু দূরে কেন্দ্রীয় মংলা বন্দর এর দিকে  গেলে পাবেন ক্যাফে ইপিজেড নামের একটি রেস্টূরেন্ট যা সাধ্যের মধ্যে খাবার এর মান বজায় রেখে আপনাকে পরিবেশন করবে উন্নতমানের খাবার। এই রেস্টুরেন্ট এ গেলে আপনি আপনার খাবার খাওয়ার সাথে সাথে উপভোগ করতে পারবেন লেক ভিউ,  এবং পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সব মিলিয়ে একটি ভালো এক্সপেরিয়েন্স পাবেন।

এছাড়াও মংলা বন্দর চেক পোস্ট থেকে একটু কাছে রয়েছে ফুড ভিলেজ নামক রেস্টুরেন্ট।  তার পাশেই রয়েছে দেশি ভোজন রেস্টুরেন্ট যেখানে আপনি পাবেন সাধ্যের মধ্যে মান সম্মত খাবার। রেস্টুরেন্ট গুলোর নাম, ঠিকানা এবং যোগাযোগ মাধ্যম নিচে উল্লেখ করা হলো

১। সোনার বাংলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট 

    মংলা ফেরিঘাট, হোটেল পশুর থেকে এক্টূ সামনে

     01960092940

২। ক্যাফে ইপিজেড

    ইপিজেড রোড, মংলা

    01918200150

৩। ফুড ভিলেজ

    কাস্টমস ভবনের ভিতরে, মংলা

     01984773366

৪। দেশি ভোজন রেস্টুরেন্ট

     কাস্টমারস হাউজ, খান বন্দর, মংলা, মংলা ৯৩৫১

     01753854897

করমজল এ দুপুরে খাবার এর কোনও ব্যাবস্থা নেই। তাই আপনি যদি করমজল এ সারাদিন থাকতে চান তাহলে মংলা ফেরি ঘাটে নেমে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারেন এবং কিছু শুকনো খাবার কিনে নিয়ে সারাদিনের জন্য সাথে রাখতে পারেন। সারাদিন করমজল এ ঘুরে ফিরে আবার মংলা বন্দরে ফিরে এসে সেরে নিতে পারেন আপনার রাতের খাবার। উল্লেখ্য, শুকনো খাবার নিলে তা নৌকায় রেখে আসবেন কারন সেখানে অনেক বানর থাকে যা আপনার হাত থেকে খাবার কেড়ে নিতে পারে।

যাওয়ার উপযুক্ত সময়ঃ

আপনি যদি সবচেয়ে ভালো এক্সপেরিয়েন্স চান তাহলে করমজল ভ্রমন করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী এর মধ্যে। এসময় সুন্দরবন এর আবাহাওয়া সাধারনত ঠান্ডা এবং শুষ্ক থাকে। ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল পরিদর্শন এবং বন্যপ্রানীদের জীবন পর্যবেক্ষন এর জন্য এ ধরনের আবহাওয়া সবচেয়ে উপযুক্ত।

এছাড়াও এ সময় নদী তে পানি কম থাকে। যে কারনে ইঞ্জিন চালিত নৌকাগুলোর চলাচল করতে সুবিধা হয়। 

সুন্দরবন অঞ্চল প্রায় সারাবছর ই আর্দ্র থাকে যে কারনে শীত কালেও আপনি কিছুটা গরম অনুভব করতে পারেন। এজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

বর্ষাকালে নদী উত্তাল থাকে তাই এ সময় করমজল ভ্রমন না করাই ভালো।

ভ্রমন টিপস ও সতর্কতাঃ

টিপসঃ

১। করমজল এবং সুন্দর বন এরিয়া ভ্রমনের জন্য আপনাকে বনবিভাগের পারমিশন নিতে হবে।

২। ভ্রমনের জন্য অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য এবং ভালো পরিচিতি আছে এমন গাইড নির্বাচন করুন।

৩। গরমকালে ভ্রমনে গেলে হালকা এবং আরামদায়ক জামাকাপড় পড়ুন।

৪। সুন্দর বন এ মশার উপদ্রব অনেক বেশি তাই অবশ্যই সাথে মস্কুইটো রিপেলেন্ট রাখুন।

৫। ভ্রমনের সময় সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি যেমন , টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, মোবাইল, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, চশমা, টাওয়েল এবং প্রয়োজনীয় জামাকাপড় সাথে রাখুন।

৬। যদি রাত্রিযাপন করতে চান তাহলে স্বাস্থ্যসম্মত থাকার যায়গা নির্বাচন করুন।

৭। স্থানীয় দের সাথে সবসময় ভালো ব্যাবহার করুন 

সতর্কতাঃ

১। কুমির ও হরিণ প্রজনন কেন্দ্রে কোনও প্রাণী কে খাবার খাওয়াবেন না।

২। করমজল ভ্রমনের পথে ভালোমানের ইঞ্জিন নৌকা নির্বাচন করুন কারন পশুর নদী সবসময় ই কম বেশি উত্তাল থাকে

৩। ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠার আগে পর্যাপ্ত পরিমানে বয়া এবং লাইফ জ্যাকেট রয়েছে কিনা তা নিশ্চিন্ত হয়ে নিন।

৪। জঙ্গল এর ভেতর বনরক্ষী ছাড়া প্রবেশ করবেন না।

আশে পাশের দর্শনীয় স্থান

আপনি চাইলে করমজল ভ্রমনের পাশাপাশি এর আশেপাশে আরো কিছু দৃষ্টিনন্দন স্থানে ঘুরে আসতে পারেন। নিম্নে কিছু স্থান নিয়ে আলোচনা করা হলো

১। সুন্দরবন কুমির প্রজনন কেন্দ্রঃ এটি করমজল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টার এ অবস্থিত যা ১৯৮০ সালে কুমির এর প্রজনন এবং প্রজাতি নিয়ে গবেষনা করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। প্রায় ২০০ টির ও বেশি কুমিরের জন্য অভয়ারণ্য এটি। এখানে আপনি কুমির গুলোকে খুব কাছে থেকে দেখতে পারবেন এবং তাদের ব্যাবহার, কিভাবে তারা জন্ম নেয়, তাদের প্রজাতি সমুহ এসব নিয়ে ধারনা পাবেন। এছাড়াও কেন্দ্রটি অনান্য বন্যপ্রাণী যেমন বানর, পাখি, হরিণ এদের জীবন বৈচিত্র দেখানোর জন্য নৌকা ভ্রমনের ব্যাবস্থা করে থাকে।

২। কাটকাঃ এটি সুন্দরবনের একটি অন্যতম জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট। বৈচিত্রময় বন্যপ্রানী, সমুদ্রসৈকত এবং সুন্দর ম্যানগ্রোভ বন দিয়ে ঘেরা একটি স্থান কাটকা। সাঁতার কাটা এবং অবকাশ যাপনের জন্য কাটকা সমুদ্র সৈকত হতে পারে একটি অন্যতম মাধ্যম। এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে যেখানে উঠে আপনি কাটকা অঞ্চলের সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারবেন

 ৩। হিরণ পয়েন্টঃ 

সুন্দরবন এর জনপ্রিয় পর্যটন ভ্রমন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি একটি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য যা সুন্দর বনীর সবচেয়ে দক্ষিনপ্রান্তে অবস্থিত। এখানে আপনি বেংগল টাইগার থেকে শুরু করে কুমির, হরিণ ও আরো নানা রকমের প্রানী দেখতে পাবেন।

৪। চিত্রা ইকো পার্কঃ করমজল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি সুন্দর পার্ক যা চিত্রা ইকো পার্ক নামে পরিচিত। পিকনিক, হাইকিং, পাখি দেখা ও রোমাঞ্চকর এডভেঞ্চার এর জন্য চিত্রা ইকো পার্ক হতে পারে একটি সুন্দর স্থান। এখানে পার্কের গার্ডেন গুলো তে আপনি দেখতে পাবেন নানান রকমের ঔষধি ভেষজ এবং সুগন্ধি গাছপালা। এছাড়াও এখানে একটি মিউজিয়াম রয়েছে যা আপনাকে এখানকার স্থানীয় মানুষ এবং ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করবে।

আরো পড়ূন

ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক
ঘুড়ে আসুন ফয়েজ লেক থেকে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার
5/5 - (3 votes)
Exit mobile version