সুনামগঞ্জের নীলাদ্রি লেক (Niladri Lake) বাংলাদেশের কাশ্মীর নামে অধিক পরিচিত। যা বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। নীলাদ্রি লেকের প্রকৃত নাম শহীদ সিরাজ লেক । তবে ভ্রমণ কমিউনিটিতে এই লেকটি নীলাদ্রি লেক নামেই অধিক পরিচিত। এই লেকের নামটা যেমন সুন্দর তেমনই এর রুপ অতি আকর্ষনীয় ও ভীষণ মোহনীয়। এই লেকটি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। লেকটি ভারতের সীমান্তের নিকটবর্তী। সুনামগঞ্জ শহর থেকে লেকের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।। স্থানীয় লোকদের কাছে এই লেকটি টেকেরঘাট পাথর কোয়ারি নামে পরিচিত। এই লেকটি লাইমস্টোন বা চুনাপাথর খনির পরিত্যক্ত লেক। এই লেকের পানি এতোটাই নীল যেনো দেখলে মনে হয় লেকটি আকাশের সাথে মিশে আসে। এই লেকের একপাশে রয়েছে ভারতের সবুজে ঘেরা মেঘালয় পাহাড় । ঘন সবুজের মাঝে নীল রঙের এই লেকটি মানুষকে আরো আকর্ষিত করে। টাঙ্গুয়ায় ঘুরতে এসে প্রায় সব পর্যটকরাই এখানে ভ্রমণ করেন ।
নামকরণের ইতিহাস
নীলাদ্রি লেকের নামকরণ নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। স্থানীয়রা বলে, লেকের পানির রঙ নীল হওয়ার কারণে এই নাম। নীল মানে নীল এবং আদ্রি মানে পাহাড়। এই দুটি শব্দ মিলে নীলাদ্রি নাম হয়েছে।
বিভাগ | বিবরণ |
অবস্থান | সুনামগঞ্জ, বাংলাদেশ |
প্রধান আকর্ষণ | প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্বচ্ছ নীল পানি |
দূরত্ব | সুনামগঞ্জ শহর থেকে ৩০ কিমি |
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
নীলাদ্রি লেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ দৃষ্টান্ত। এই লেকের চারপাশের সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। নীল জলের মোহনীয়তা এবং পাহাড়ের সান্নিধ্য সব দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে।
নীল জলের মোহনীয়তা
নীলাদ্রি লেকের নীল জল সত্যিই মনোমুগ্ধকর। লেকের জল অতি স্বচ্ছ ও নির্মল। সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে যেনো নীল রঙ ধারণ করে।
লেকের তীরে বসে এই নীল জল দেখতে অসাধারণ লাগে। মনে হয় যেনো জলের রঙ পরিবেশের সাথে মিলে গেছে।
পাহাড়ের সান্নিধ্য
নীলাদ্রি লেকের চারপাশে পাহাড়ের সাড়ি রয়েছে। এই পাহাড়গুলো যেনো লেকের সৌন্দর্য বহুগুনে বাড়িয়ে তোলে। পাহাড়ের সবুজ বনানী ও ঝর্ণার শব্দ মনোমুগ্ধকর আপনার মনকে করে তুলবে প্রফুল্য।
পাহাড়ের চূড়া থেকে লেকের দৃশ্য অসাধারণ। এখানকার তাজা বাতাস শ্বাস নেওয়ার জন্য উপযুক্ত।
জীববৈচিত্র্য
নীলাদ্রি লেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব স্থান। এখানে জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। লেকের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী বাস করে। এই জীববৈচিত্র্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
পাখির বিচরণ
নীলাদ্রি লেক পাখিদের জন্য একটি স্বর্গরাজ্য। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়।
- নানান প্রজাতির জলচর পাখি
- বনাঞ্চল পাখি
- অবস্থানকারী ও পরিযায়ী পাখি
পাখির কলরবে লেকের পরিবেশ আরও মনোমুগ্ধকর হয়। পর্যটকরা সহজেই পাখিদের ছবি তুলতে পারেন।
জলজ প্রাণী
নীলাদ্রি লেকের জলজ প্রাণীর সংখ্যা অনেক। এই লেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, কাঁকড়া ও অন্যান্য জলজ প্রাণী পাওয়া যায়।
প্রাণীর নাম | বিবরণ |
মাছ | বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যেমন কার্প, রুই ইত্যাদি |
কাঁকড়া | লেকের তলদেশে কাঁকড়ার বসবাস |
অন্য জলজ প্রাণী | নানান ধরনের জলজ প্রাণী |
Credit: www.ittefaq.com.bd
নীলাদ্রি লেক যাবার উপযুক্ত সময়
বছরের যেকোনো সময়েই আপনি নীলাদ্রি লেক ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে বর্ষাকালে নীলাদ্রি লেকের সৌন্দর্য আরো কয়েকশ গুন বেড়ে যায়।তাই আমার মতে বর্ষাকালই হলো নীলাদ্রি লেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। বর্তমান্র অনেক আধুনিক হাউজ বোট থাকার মানুষ চাইলে রাতে এ লেকে অবস্থান করতে পারে। তবে যারা পাখি প্রেমী আছে তাদের জন্য উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল। এ মৌসুমে সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসা অথিতি পাখিদের দেখা যায়।
নীলাদ্রি লেক ভ্রমণ
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ উদ্দেশ্যে বের হলে আপনি নীলাদ্রি লেক , যাদুকাটা নদী, বারিক্কা টিলা, শিমুল বাগান প্রভৃতি জায়গা গুলো ভ্রমণ করে আসতে পারেন। বর্ষাকালে এই লেকটি পানিতে পূর্ন থাকে। নীলাদ্রি লেক ভ্রমণের পুর্বে অবশ্যই একটি সঠিক ভ্রমণ পরিকল্পনা দরকার। যাতে লেক ভ্রমণের পাশাপাশি আপনি অন্যান্য জায়গা ভ্রমণ করতে পারেন ভালো মতো
নীলাদ্রি লেক ভ্রমণ পরিকল্পনা
শুকনো মৌসুমে একদিনের জন্য নীলাদ্রি লেক, যাদুকাটা নদী , শিমুল বাগান , বারেক টিলা ভ্রমণ করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি সুনামগঞ্জ শহর থেকে রিজার্ভ ভাইকে করে উক্ত স্থান গুলো ভ্রমণ করতে পারেন।
একটি মোটর বাইকে একসাথে দুইজন ভ্রমণ করতে পারবেন। বিভিন্ন মৌসুম অনুযায়ী মোটর বাইকের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমে নৌকা কিংবা ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে আপনি উক্ত স্থান গুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে অবশ্যই নৌকা ভাড়া করার সময় দরদাম করে নিবেন।
নীলাদ্রি লেক কীভাবে যাবেন
নীলাদ্রি লেক সুনামগঞ্জে অবস্থিত। নীলাদ্রি লেকে আসতে হলে প্রথমে বাসে করে আগে সুনামগঞ্জে আসতে হবে। নীলাদ্রি লেকে সাধারনত তিন ভাবে যাওয়া যায় ।
- ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ
- মোহনগঞ্জ থেকে নীলাদ্রি লেক
- সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে শ্যামলী , মামুন এনা বাসে করে সুনামগঞ্জ তাহিরপুর অঞ্চলে প্রথমে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বাস ভাড়া জন প্রতি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পরবে। সুনামগঞ্জ অঞ্চলে আসার পর মোটর সাইকেল অটো রিকশা কিংবা সি এন জিতে করে তাহিরপুর বাজার আসতে হবে। সেখান থেকে আপনি আপনার কাঙ্খিত হাওজ বোট , নৌকা, ইঞ্জিন চালিত নৌকা পেয়ে যাবেন । সেখান থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওরের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হলো এই নীলাদ্রি লেক। এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকেও সরাসরি নীলাদ্রি লেক যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সুনামগঞ্জ নেমে সুরমা ব্রিজ থেকে নীলাদ্রি লেক যাবার মোটর সাইকেল পাওয়া যায়। বর্ষাকাল ব্যতীত অন্যান্য সময় এভাবে নীলাদ্রি লেকে যাওয়া যাবে। তবে বর্ষাকাল হলে অবশ্যই তাহিরপুর থেকে নৌকা ভাড়া করে প্রথমে টেকেরঘাট যেতে হবে। তারপর ওখান থেকে ৩/৪ মিনিট হাটার পরই পৌছে যাবেন নীলাদ্রি লেক ।
মোহনগঞ্জ থেকে নীলাদ্রি লেক
নেত্রকোনার মোহঙ্গঞ্জ থেকেও নীলাদ্রি লেকে যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সময় এবং খরচ সাথে শারীরিক ব্যয় ও কিছুটা বেশি। তবে যাদের বাড়ি নেত্রকোনা তারা সহজেই এই রুটে যেতে পারবে । তবে ঢাকা কিংবা অন্যান্য জেলা থেকে এভাবে যাওয়াটা কষ্টসাধ্য ভীষন। ঢাকা থেকে হাওর এক্সপ্রেস ও মোহগঞ্জ এক্সপ্রেস নামক দুটি ট্রেন রাত ১০ টা ১৫ মিনিটে ও বেলা ১ টা ১৫ মিনিটে ঢাকা হতে মোহনগঞ্জ অভিমুখে রওনা দেয়। এতে ট্রেন ভাড়া পরে সর্বনিম্ন ২০৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮৫১ টাকা। মোহনগঞ্জ থেকে মধ্যনগর যেতে ১ ঘন্টা লাগে। বর্ষাকাল ব্যতীত অন্য মৌশুমে গেলে মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে যেতে পারেন । তবে বর্ষাকালে আপনাকে মধ্যনগর থেকে টেকেরঘাট নৌকা, স্পিড বোট , ট্রলার এসবে করে যেতে হবে।
সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে নীলাদ্রি লেক
সিলেটের কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল কিংবা সিটিং বাসে করে সহজেই সুনামগঞ্জ আসা যায়। বাস ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা করে লাগে। সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ আসতে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগে। এছাড়াও সিলেটের শাহজালাল মাজারের সামনে থেকে সুনামগঞ্জ যাবার লাইট গাড়ী পাওয়া যায়। লাইট গাড়ির ভাড়া ২০০ টাকা। এরপর সুনামগঞ্জ থেকে সি এন জি অথবা বাইকে করে তাহিরপুর আসতে হবে। তাহিরপুর থেকে নৌকা ভাড়া করে প্রথমে টেকেরঘাট যেতে হবে। তারপর ওখান থেকে ৩/৪ মিনিট হাটার পরই পৌছে যাবেন নীলাদ্রি লেক ।
স্থানীয় পরিবহন
নীলাদ্রি লেকে পৌঁছানোর পর স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হবে। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থা উল্লেখ করা হল:
পরিবহন | বিবরণ |
রিকশা: | সিলেট শহর থেকে নীলাদ্রি লেক পর্যন্ত রিকশা পাওয়া যায়। |
অটো: | অটো রিকশা একটি সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী যাতায়াত মাধ্যম। |
মাইক্রোবাস: | মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে নীলাদ্রি লেকে পৌঁছানো যায়। |
কোথায় থাকবেন
নীলাদ্রি লেকের আশেপাশে থাকার তেমন কোনো সুব্যবস্থা নেই। তবে টেকের ঘাট থেকে খানিকটা দূরে হেটে গেলেই আসে বড়ছড়া বাজার। এখানে থাকার জন্য কিছু গেস্ট হাউজ আছে। এই গেস্ট হাউজে ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে রাত্রিযাপন করা যায়। এছাড়া তাহিরপুর বাজারেও কিছু থাকার হোটেল আছে সেখানে চাইলেও আপনি রাত্রিযাপন করতে পারেন। আর যদি খালি থাকে নীলাদ্রি লেকের পাশে পুরাতন চুনা পাথরের কারখানা আসে সেখানের গেস্ট হাউজে আপনি রাত্রি যাপন করতে পারেন। এছাড়া বর্ষাকালে নীলাদ্রি লেকে গেলে আপনাকে হাউজ বোটে রাত্রীযপন করতে হবে । টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউজ বোটে রাত্রিযাপনের বিস্তারিত জানতে । কেউ যদি সুনামগঞ্জে রাত্রীযাপন করতে চায় তাহলে ২০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে সেখানে থাকার হোটেল পাবে।
সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস | সুনামগঞ্জ সদর | ০১৭৩৩৩৪১৯০৪ |
হোটেল নূর | পূর্ববাজার স্টেশন রোড | |
শেরাটন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট | থানা রোড দিরাই | ০১৭১৮২৫২০১৮ |
হোটেল মিজান | পূর্ববাজার স্টেশন রোড সুনামগঞ্জ | – |
হোটেল নূরানী | পুরাতন বাসস্টেন্ড, স্টেশন রোড, সুনামগঞ্জ | – |
সুস্বাস্থ্য খাবার ব্যবস্থা
নীলাদ্রি লেক ভ্রমণে যদি আপনি নৌকা বা হাউজ বোট ভাড়া করে থাকেন । তাহলে হাউজ বোট প্যাকেজের সাথেই তারা ৩ বেলার খাবারসহ সন্ধ্যার নাস্তা সরবরাহ করে থাকেন। যদি আপনি ডে ট্যুর প্যাকেজে এসে থাকেন তাহলে আপনি টেকেরঘাট বাজার, বড়ছড়া বাজার, তাহিরপুর প্রভৃতি বাজার থেকে ভালো খাবারের হোটেল পাবেন । তবে ভালো মানের খাবার হোটেলের জন্য এক্ষেত্রে আপনাকে সুনামগঞ্জ জেলায় আসতে হবে। এছাড়া বারিক্কা টিলাতে সাধারনত ভালো মানের দেশীয় খাবারের হোটেল রয়েছে। যারা দেশীয় খাবার পছন্দ করেন তাদের জন্য এ হোটেলের খাবার বেশ উপযোগী।
আশে পাশের দর্শনীয় স্থান
নীলাদ্রি লেকের আশেপাশে খুব সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। নীলাদ্রি লেক ভ্রমণের সময় অবশ্যই এ জায়গা গুলো আপনাকে আরোও বেশি মনোমুগদ্ধ করবে।
- শিমুল বাগান
- যাদুকাটা নদী
- টেকের ঘাট
- ওয়াচ টাওয়ার
- বারিক্কা টিলা
- টাঙ্গুয়ার হাওর
- মেঘালয় পাহাড়
ভ্রমণ টিপস ও সতর্কতা
- প্রশিক্ষিত গাইডের সাথে ভ্রমণ করুন।
- লেকের পানিতে নামার সময় অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরিধান করবেন ।
- ভ্রমণের সময় ছাতা সাথে নিন রোদ বৃষ্টি যেকোনো সময় কাজে লাগবে।
- বর্ষাকালে হাওরে বজ্রপাত হলে নৌকার ছাওনীতে অবস্থান করবেন।
- লেকের পানিতে ময়লা , খাবারের উচ্ছিষ্ট , প্লাস্টিকের প্যাকেট এসব ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
- যেকোনো কিছু কিনার আগে অবশ্যই দরদাম করে কিনুন।
- লেকের মাছ , পাখি ও অন্যান্য জলজ প্রানীদের কোনো রকম ক্ষতি করা যাবে না।
- লেকের গাছ পালার ক্ষতি সাধন হতে বিরত খাকুন।
- লেকের পানিতে কোনো রাসায়নিক বা দূষিত পদার্থ ফেলবেন না।
- হাওরে উচ্ছ শব্দ সৃষ্টিকারী মাইক কিংভা গান বাজনা থেকে বিরত থাকুন। যা প্রকৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
শেষকথা
সবশেষে কিছু গুরুত্বপূর্ন কথা নীলাদ্রি লেকে ভ্রমণের আগে অবশ্যই আগে এ জায়গাটি সম্পর্কে জেনে আসবেন। যাতে ভ্রমণের সময় আপনার কোনো ধরনের অসুবিধে না হয়। এছাড়া সকল ভ্রমণের পূর্বেই কিছু প্রয়োজনীয় ঔষুধ বহন করবেন । যদি কখনো অসুস্থ হয়ে পরেন সঠিক সময়ে ঔষুধ সেবন করে আপনি আপনার ভ্রমণকে ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারেন। ভ্রমণের সময় অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় সকল বস্তু বহন করবেন। কারন ঘুরতে যেয়ে প্রয়োজনীয় কিছু না পেলে ঘুরার আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যাবে। সকল ধরনের সাবধানতা ও সতর্কতা মেনে চলে নিজের ভ্রমণকে করে তুলুন আরো বেশি সুন্দর ও রোমাঞ্চকর।
আরো পড়ুন |
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নিকলী হাওর |
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সাদা পাথর ভোলাগঞ্জ |
করমজল: সুন্দরবনে একটি বিশেষ গন্তব্যের পরিচয় |
ঘুরে আসুন প্রাকৃতিক বৈচিত্রপুর্ণ টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে |
Frequently Asked Questions
নীলাদ্রি লেক সুনামগঞ্জ জেলায়, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি টাঙ্গুয়ার হাওরের নিকটে অবস্থিত।
নীলাদ্রি লেকের প্রধান আকর্ষণ এর নীলাভ পানির সৌন্দর্য। এছাড়াও, এর চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।
নীলাদ্রি লেকে সুনামগঞ্জ শহর থেকে সরাসরি যানবাহনে যাওয়া যায়। এছাড়াও, নৌকা ভাড়া করে লেক পরিদর্শন করা যায়।
নীলাদ্রি লেকে ভ্রমণের সেরা সময় বর্ষাকাল। এই সময়ে লেকের পানি পূর্ণ থাকে এবং প্রকৃতি সবুজে ভরে ওঠে।